বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন গ্রুপের নথুল্লাবাদ প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য কিনেছিলেন কাজি আফজাল হোসেন পারভেজ । পণ্য কেনার পর কিস্তির সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার আগেই মারা যান এই ক্রেতা। ওয়ালটন গ্রুপের ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’তে মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো ওয়ালটন গ্রুপ। পাওনা টাকা মওকুফ করেও মৃত্যু কাজী আফজাল হোসেন পারভেজ পবিরারের হাতে তুলে দিয়েছে ৫০ হাজার টাকার চেক।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকল১১.০০ আনুষ্ঠানিকভাবে আর্থিক সহায়তার এই চেক হস্তান্তর করেন ওয়ালটন নথুল্লাবাদ শাখার সিনিয়র ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে চেক গ্রহণ করেন কাজী আফজাল হোসেন পারভেজের স্ত্রী জেরিন তাসনিম মালিহা।
ওয়ালটন প্লাজা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর ওয়ালটন প্লাজা নথুল্লাবাদ শাখা থেকে ৪৯৭১০ টাকা দামের টিভি কিস্তিতে কেনেন বরিশাল কলেজ এভিনিউ নিবাসী কাজী আফজাল হোসেন পারভেজ। কেনার সময় প্রাথমিক জমা বাবদ ১৫৪১০ টাকা পরিশোধ করে মারা যায়। মারা যাওয়ার এক মাসের মধ্যে পরিবারের পাশে আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়ালো ওয়ালটন গ্রুপ।
পণ্যের টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ওয়ালটনের আর্থিক সহায়তা পেয়ে মৃত কাজী আফজাল হোসেন পারভেজ এর স্ত্রী জেরিন তাসনিম মালিহা বলেন, ‘আমার স্বামী একমাস আগে স্ট্রোক করে মারা যান। ওয়ালটনের কিস্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। প্লাজার লোক আমাদের সঙ্গে দেখা করে টিভির কাগজপত্র নিয়ে যায়। টিভির বাকি কিস্তি আর দিতে হয়নি। এখন উল্টো আমাদের আর্থিক সহায়তা করেছেন। ওয়ালটনের এই সহায়তায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ওয়ালটন প্লাজা নথুল্লাবাদ শাখার সিনিয়র ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলমের যুগন্তকারী উদ্যোগ ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ বিষয়টি ক্রেতাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের আস্থা এবং ভালোবাসা বেড়েছে। এই উদ্যোগের ফলে আজ আমরা এক মৃত ক্রেতার পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দিয়েছি।’
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন নথুল্লাবাদ শাখার হেলথ এন্ড হ্যাপিনেস অফিসার টিপু মিয়া ও অন্যান্যা কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিন্দু।
২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ওয়ালটন গ্রাহকদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ এবং ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ চালু করেছে। কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির আওতায় যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হয়। পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেছে ২৫ হাজার থেকে দেড় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রদান করবে ওয়ালটন প্লাজা। তবে মৃত্যুকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে প্রদান করে ওয়ালটন গ্রুপ।